• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে ভাষাশহিদদের স্মরণ করছে জাতি। 

একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

ব্যক্তিগতভাবে এবং দলবদ্ধ হয়ে একের পর এক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

একুশের সূর্য ওঠার পর থেকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে প্রবেশ করতে শুরু করে শহিদ মিনার এলাকায়। বেলা গাড়নোর সঙ্গে সঙ্গে এ লাইন দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হতে দেখা যায়। 

রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

সকালে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে সাদা কালো পাঞ্জাবি, শাড়ি পরে শুরু হয়ে প্রভাতফেরির শ্রদ্ধা নিবেদন। শহিদ মিনারের পশ্চিম দিক থেকে বেদিতে ওঠার দীর্ঘ লাইন এঁকে বেঁকে চলে গেছে বহুদূর পর্যন্ত। 

সর্বস্তরের মানুষের হাতেই নিজ নিজ সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, ফুলের ডালা। পরনে বেশির ভাগেরই পাঞ্জাবি আর শাড়ি।

বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমন হাজার হাজার লোক এখনো শহিদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষায় আছেন।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার পরও দেখা গেছে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা তাদের। এই লাইন মানুষের ঢল এঁকে বেঁকে চলে গেছে আজিমপুর সংযোগ সড়কের দিকে।

বেদিতে প্রবেশের জন্য শাহবাগ থানা যুবলীগের লীগকর্মী তাইযুল ইসলাম বলেন, শত শত সংগঠন দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। আজ এখানে মানুষের ঢল নেমেছে। এখানে আসা সব  সংগঠনগুলো শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে। তাই সিরিয়ালে দাঁড়াতে হয়েছে সবাইকে। 

‘কর্মজীবি নারী’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা রুবিনা বলেন, প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টার ওপরে লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারলাম। এখনো পেছনে দীর্ঘ লাইন রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের। 

শুধুমাত্র এক পথ দিয়েই প্রবেশ করা যাচ্ছে, যে কারণে মানুষের লাইন আরো দীর্ঘ হয়েছে। পেছনে যতদূর চোখ যায় ততদূর শুধু মানুষ আর মানুষ। সবাই কোনো না কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের ব্যানার নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here