• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

একযোগে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে ২৮১ পৌরসভায়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

                    
গত দুই দশকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে নগরের নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে পৌরসভার সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ৩২৮টি পৌরসভায় প্রায় কোটি মানুষের বসবাস। দ্রুত হারে শহর ও শহরের জনসংখ্যা বাড়লেও নগর সেবা অবকাঠামো পর্যাপ্ত না থাকার কারণে মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা, উন্নত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনুন্নত রাস্তাঘাট, নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে নগর উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বর্তমান সরকার গ্রাম ও শহর সব এলাকার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তারই ধারাবাহিকতায় দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে গড়ে তুলবার জন্য সরকারের ভিশন-২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ ও বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১ প্রণয়ন করেছেন। শহর এলাকার কোটি মানুষের যাতায়াত ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার পৌরসভাগুলোর রাস্তা, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেনের মতো অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করছে। ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পটি ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়, যার আওতায় রয়েছে ২৮১টি পৌরসভা। প্রকল্পের শুরু থেকেই মাঠপর্যায়ের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পভুক্ত পৌরসভাগুলোতে সড়ক, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেন নির্মাণের কাজ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য মোট বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল ৩ হাজার ৪শ ৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ২ হাজার ৭শ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ৬শ ৮১ কোটি লাখ টাকা পেলেই প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হবে। দ্রুত হারে নগরায়ণের কারণে পৌরসভায় নতুন নতুন এলাকা বসতির আওতায় আসছে, ফলে রাস্তাঘাটের যে চাহিদা ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে, সম্পদস্বল্পতার কারণে একবারে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে প্রকল্প থেকে যে পরিমাণ সড়ক ও ড্রেন নির্ধারণ করা হয়েছে এগুলো পৌরসভার অধিক অগ্রাধিকারমূলক কাজ হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে সবাইই দ্রুত কাজ বাস্তবায়নে আগ্রহী। এই প্রকল্পের কাজের ফলে সরাসরি পৌর জনসাধারণ উপকৃত হয়, যে কারণে প্রকল্পে আমার সব সহকর্মী কাজ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিক। একটি ড্রেন হয়তো কোনো এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দূর করবে, একটি রাস্তার কারণে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বা রোগীদের হাসপাতালে নেয়া সহজ হবে।

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভৌত কাজের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমাদের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ২৭৯টি পৌরসভায় মোট ২০৩১টি রাস্তা, ১২৫টি ড্রেন ও ৭১০ দশমিক ২৫ মিটার সেতু, কালভার্ট নির্মিত হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এ প্রকল্পের আওতায় ডিপিপিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (দ্বিতীয় পর্যায়)’ ২৮১টি পৌরসভায় সড়ক, সেতু, কালভার্ট ও ড্রেনের জন্য সর্বমোট ৩ হাজার ৩শ ৪২ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে।

প্রকল্প কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বরাদ্দকৃত অর্থ আমাদের হাতে যত তাড়াতাড়ি আসবে আমরা তত দ্রুত কাজ শেষ করতে পারব। যদি অর্থ পেতে দেরি হয় তাহলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here