• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

ডাকঘর সঞ্চয়ের সব হিসাব ডিজিটাল হচ্ছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবের ম্যানুয়াল পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সাধারণ হিসাব ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে খোলা যাবে না। নতুন সব সঞ্চয় হিসাব হচ্ছে ডিজিটাল। বর্তমানে পরিচালিত ম্যানুয়াল হিসাব ২০২৪ সালের জুনের পর পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে এসব হিসাব ডিজিটাল না করলে আর মুনাফা মিলবে না। সমপ্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।

সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমের আওতায় সাধারণ ও মেয়াদি হিসাব এবং ডাক জীবন বীমা হিসাব খোলা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে মেয়াদি হিসাব অনলাইনের আওতায় এসেছে। তবে সাধারণ হিসাব পরিচালিত হয় আগের নিয়মে। এতে করে একই ব্যক্তি একাধিক অফিস থেকে সীমার বেশি বিনিয়োগ করলেও তা ধরা বেশ কঠিন। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে সাধারণ ও মেয়াদি উভয় হিসাবে একক নামে সর্বোচ্চ ১০ লাখ এবং যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করা যায়। সাধারণ হিসাবে সুদহার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এক মাস বা তার বেশি মেয়াদে টাকা রাখলে এ হারে সুদ দেওয়া হয়। এছাড়া, এক, দুই ও তিন বছর মেয়াদি হিসাব খোলা যায়। এ ক্ষেত্রে সুদহার তুলনামূলক বেশি।

সূত্র জানায়, ডাকঘর সাধারণ ও মেয়াদি হিসাবে বিনিয়োগ দ্রুত কমছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সাধারণ হিসাবে নতুন করে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। এর মানে নিট বিনিয়োগ কমেছে ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর মেয়াদি হিসাবে ২ হাজার ১৮১ কোটি টাকা জমার বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ৯ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। নিট বিনিয়োগ কমেছে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বাইরে বর্তমানে পরিবার, পেনশনার, তিন মাস অন্তর মুনাফা এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র রয়েছে। যে অফিস থেকেই এসব সঞ্চয়পত্র কেনা হোক, অনলাইনে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি হয়। এর ফলে মিথ্যা ঘোষণায় সীমার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। বর্তমানে ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো ও ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বেচাকেনা হয়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here