• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

রমজানে কোটি পরিবারকে মিয়ানমারের আতপ চাল দেওয়ার পরিকল্পনা         

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

        
আসন্ন রমজানে ভিজিএফের আওতায় এক কোটিরও বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এজন্য মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আতপ চাল দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস। খাদ্য মন্ত্রণালয় মূলত রেশনিং, কাবিখা, টিআর ও ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে চাল বিতরণ করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বিতরণ ব্যবস্থা চলছে। ২ হাজার ৫০০ ডিলারের মাধ্যমে চাল এবং আটা প্রতিনিয়তই বিতরণ করা হচ্ছে। হিসেব অনুযায়ী এ সময় ওএমএস বন্ধ থাকে। শুধু সিটিতে কিছু থাকে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সিটি, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে বিতরণ কার্যক্রম চলছে। ওএমএসের আওতায় যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তারা ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি আটা পাচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১ মার্চ থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হবে। বছরে ৫ মাস এ কার্যক্রম চলে। মূলত মার্চ, এপ্রিল, মে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এ চাল দেয়া হয়।

তিনি বলেন, আমাদের ওএমএস-এ এক কোটির ওপরে পরিবার বছরজুড়ে ৫ কেজি চাল ও ৩ কেজি আটা পায়। অতএব রমজানে মানুষ অন্তত চালের জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়বে বলে আমি মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বেসরকারি আমদানি খোলা রয়েছে। তবে আগের তুলনায় কম আসছে। কারণ দেশে এখন প্রচুর চাল আছে। সরকারি মজুতও প্রচুর রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বিতরণ যেমন অনেক বেশি পাশাপাশি মজুদও সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বর্তমানে আমাদের ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।

চালের দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে সবকিছু যদি বিচার বিশ্লেষণ করেন যেমন- ডলারের দাম, উৎপাদন খরচ সবকিছু বিবেচনা করলে আমি মনে করি বৈশ্বিক এই সংকটে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের পরে যে হাহাকার নেই, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা। 

সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছে এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য তো ওএমএস, কাবিখা আছে। আর অসাধারণের জন্য অ্যারোমেটিক, প্যাকেট, সিলকি আছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here