• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

এবার সৌদি আরবে সার কারখানা করতে চায় বাংলাদেশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

সৌদি আরবে একটি ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে সৌদি আরবের হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং সৌদি প্রতিষ্ঠান এইচএসসিসির সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।

আরও উপস্থিত ছিলেন- বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমানসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন বিসিআইসির সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস। হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সই করেন পক্ষে সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এইচএসসিসি একটি ডিএপি কারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এইচএসসিসি তাদের অর্থায়নে এ সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প সম্পাদন করবে। বিসিআইসি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তাদের সহায়তা করবে। এ সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তির পথরেখা তৈরি করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। আজ আমরা সৌদি আরবের উপযুক্ত কোনো জায়গায় একটি ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সম্ভাবত্য যাচাইয়ে সমঝোতা স্মারক সই করলাম।

তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিএপি সারের চাহিদা সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম ডিএপি সার কারখানায় আমরা উৎপাদন করি প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস নেই। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড নেই। কাজেই সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন যৌক্তিক হবে। কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া যৌথ বিনিয়োগে হতে পারে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

আজকের এই সমঝোতা স্মারক সই ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী।

Place your advertisement here
Place your advertisement here