• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

`মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি`

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করায় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে এ ধরনের বিতর্ক অবান্তর ও অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, দুদক আইনের ৯ ধারায় বলা আছে- কর্মাবসানের পর দুদকের কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। এর ফলে অনেকে বলতে চেয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পদ একটি লাভজনক পদ। কিন্তু রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দেন না, তিনি নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন প্রচলিত প্রথা অনুসারে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করেছে।

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, তা নিয়ে ১৯৯৬ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা হয়েছিল। ঐ সময় আওয়ামী লীগ শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল। তখন হাইকোর্টে রিট মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি থেকে অবসর নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হওয়া যায় না। ফলে শাহাবুদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন না। সেই অভিযোগের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির পদ লাভজনক নয়।

সেই রায়ের কথা উল্লেখ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনকর্তা হিসেবে আমি রায়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। আমি যাচাই-বাছাই করে দেখেছি মো. সাহাবুদ্দিনের কোনো অযোগ্যতা নেই। আমরা ওনাকে নির্বাচিত করেছি প্রচলিত প্রথা অনুসারে।

তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়েছে- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বা দুদক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ কোনোক্রমেই অবৈধ নয়। তাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি অবান্তর ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

Place your advertisement here
Place your advertisement here