• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

পরিবারবঞ্চিত শিশুদের ভালোবাসা জানালেন তথ্যমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পারিবারিক স্নেহবঞ্চিত প্রায় ২০০ শিশুর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি ও তার স্ত্রী এসব শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছেন ফুল এবং উপহার সামগ্রী, শুনেছেন তাদের কথা, কবিতা ও গান।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রায়ের বাজার এলাকার বরইখালীতে মাস্তুল ফাউন্ডেশন স্কুল অ্যান্ড অরফানেজ শেলটার হোমে যান তথ্যমন্ত্রী ও তার সহধর্মিণী নুরান ফাতেমা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আবাসন ও শিক্ষা সহায়তা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। 

এর আগে দুপুরে শিশুদের জন্য রান্না করা খাবার পাঠান তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী নুরান ফাতেমা। অফিস শেষে স্ত্রীকে নিয়ে সময় জামাকাপড়সহ উপহার সামগ্রী ও নানা ধরনের খেলনা নিয়ে যান তথ্যমন্ত্রী। মাস্তুলের প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান, উপদেষ্টা কাজী মাইনুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা তাদের স্বাগত জানান। মন্ত্রী ও তার স্ত্রী প্রত্যেক শিশুর হাতে একগুচ্ছ রজনীগন্ধা তুলে দেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, পরিবারের স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়, কেউ যাদের স্বপ্ন দেখাতেও চায় না, সেইসব শিশু ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে এসে মাস্তুল ফাউন্ডেশন আশ্রয় দিয়েছে, শিশুশিক্ষা ও বয়স্কদের কর্মের সুযোগ করে দিয়েছে। সেজন্য এই পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আমি এখানে তাদের কাছে এসেছি।

তিনি বলেন, আমার পরিবার যেমন আমাকে মমত্ববোধ শিখিয়েছে, তেমনি আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও দেখেছি। আজ আমরা ক্ষমতায়, যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখন দেখেছি, বিশাল গাড়িবহর নিয়ে চলার সময় জননেত্রীর গাড়ির সামনে যদি কোনো ভিক্ষুক এসে পড়ত, পুরো বহর থেমে যেত। শেখ হাসিনা তাকে সাহায্য করতেন।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি, ঢাকায় বিমানবন্দরের পাশে বাবার সঙ্গে থাকা অল্পবয়সী ছেলে প্রতিদিন বিমান উড্ডয়ন দেখত। একদিন সে বাবাকে বলল- বাবা আমি বড় হয়ে পাইলট হতে চাই। বাবা ধমক দিয়ে বললেন- যা, কাজে যা। সেই ছেলেটিকে মাস্তুল ফাউন্ডেশন নিয়ে এসেছে, পড়াশোনা করাচ্ছে। আমি তার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রার্থনা করি।

ড. হাছান মাহমুদ মাস্তুল স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র ও এতিমখানা উদ্বোধন করেন। এ সময় মাস্তুল ফাউন্ডেশনের স্বাবলম্বী প্রকল্পের দুইজন বিধবাকে দুইটি সেলাই মেশিন এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পে সেবার আওতায় থাকা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন রোগীর হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। স্কুল এবং শেলটার হোমের শিশুরা এ সময় গান ও ছড়া পরিবেশন করে। সংস্থার পরিদর্শন বইতে মন্ত্রী লেখেন- এই অসাধারণ কার্যক্রমের জন্য মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

মাস্তুল  ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, তথ্যমন্ত্রী, তার স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে অতিথি হিসেবে পেয়ে আমরা অভিভূত। তাদের আমাদের প্রকল্পগুলো দেখাতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত। আমরা শুধু দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  আজকে মন্ত্রী এসে আমাদের আরও অনুপ্রেরণা দিলেন। দুই লাখ টাকা দিলেন। এই অনুপ্রেরণাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগামীতে আরও কাজ করে যাব।

মাস্তুল উপদেষ্টা মাইনুর রহমান জানান, দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত মাস্তুল ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে নিজস্ব স্কুল ও এতিমখানায় ২০০ শিশুর শিক্ষা, আহার ও আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি ১২ জেলার ২২টি স্কুলে সহস্রাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ, জুতা-মোজা বই-খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। এর স্বাবলম্বী প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৭৫০ জন স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া সংস্থাটি মৃত ব্যক্তিদের জানাজা, দাফন ও সৎকার করে থাকে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here