• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

অর্ধশত বছর পর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হলেন সেই চুপ্পু

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

অর্ধশত বছর আগে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার মাথায় হাত রেখে দোয়া করেছিলেন, এত বছর পর সেই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে।

জানা যায়, ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্যাকবলিত মানুষকে বাঁচাতে পাবনার কাশিনাথপুর/নগরবাড়ীতেমুজিব বাঁধউদ্বোধন করতে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। যথারীতি জনসভার আয়োজন করা হলে, স্বাগত বক্তব্যের দায়িত্ব পড়ল সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ওপর। তাঁর বক্তব্য বঙ্গবন্ধুর এত পছন্দ হল, যে তিনি ডায়াস থেকে নামার সময় বঙ্গবন্ধু তাঁর হাত ধরে ফেললেন। তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। কপালে চুমু দিয়ে বললেন, ‘তুই তো ভালো বলিস।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু হেলিকপ্টারে উঠতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি সাহাবুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলেন, ঢাকায় যাবি কি না? তিনি সানন্দে রাজি হলেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জীবনে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারভ্রমণের সুযোগ তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মত। ঢাকায় হেলিকপ্টার থামল পুরনো বিমানবন্দর তেজগাঁওয়ে। ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে ডাকলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দিলেন, ‘ওকে বাসায় নিয়ে খেতে দাও, তারপর খরচ দিয়ে পাবনা পাঠিয়ে দিও।

১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আরেকবার পাবনা আসেন বঙ্গবন্ধু। জনসভার আয়োজন তখন স্টেডিয়ামে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সেবারও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয় সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু ঠিক আগের মতোই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন। ভবিষ্যতে আরো সফলতা কামনা করেন।

পাবনাবাসী মনে করছেন, বঙ্গবন্ধুর স্নেহ ভালবাসায় ধন্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনীত করার হয়ত এটিও একটি কারণ।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দেশের রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেনএমন খবর গতকাল পাবনায় পৌঁছালে আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। আনন্দ মিছিল করেছে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরএম একাডেমির শিক্ষার্থীরাও।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো।‘

সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পাবনার বাসভবনের পাশের বাড়ির বাচ্চু প্রামাণিক বললেন, ‘তিনি আমার প্রতিবেশী। ঢাকা থেকে পাবনায় এলেই তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, খোঁজখবর নেন। কারো কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো সমাধান করেন। তিনি অত্যন্ত ভদ্র, নম্র বিনয়ী একজন মানুষ।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ছোট বোন ফারজানা মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিবারের মধ্যে তিনি সবার বড়। যে কারণে বটবৃক্ষের ছায়ার মতো পরিবারকে তিনি আগলে রাখেন। তাঁর মতো এত সুন্দর মনের মানুষ আর হয় না। শুধু ভাই হিসেবে না, মানুষ হিসেবে তিনি তুলনাহীন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, উত্ফুল্ল। আমার ভাই এত বড় একটি আসনে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছেন, জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।

Place your advertisement here
Place your advertisement here