• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

রাষ্ট্রপতির নিকট আট দূতের পরিচয়পত্র পেশ

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ছয় দেশের রাষ্ট্রদূত ও দু’দেশের হাইকমিশনার পৃথকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে গিয়ে তারা এসব পরিচয়পত্র পেশ করেন।

আট দূতের মধ্যে দু’জন আবাসিক রাষ্ট্রদূত, অন্যরা অনাবাসিক। আবাসিক রাষ্ট্রদূতদ্বয় হলেন- ডেনমার্কের উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন ও ইরানের মোহাম্মদ রেজা নাফার। অনাবাসিক দূতরা হলেন- অস্ট্রিয়ার ব্রিটজিট অপিঙ্গার ওয়ালশোফার, স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের ইভান ল্যাস্কারিচ, উগান্ডার দিনাহ গ্রেস আলকেলো, পোল্যান্ডের অ্যাডাম বুরাকোশি এবং ঘানা ও কাজাখস্তানের হাইকমিশনার মাইকেল অ্যারন নি নোর্টে ওকাই জুনিয়র ও বার্লিবে স্যাডিকভ।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে সকলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সব সময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেয় উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে, তাদের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ব্যবসা ও বাণিজ্যের সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশ ও দূতদের নিজ নিজ দেশের কল্যাণে সকল সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে।

রাষ্ট্রপতি দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে এসব দেশের সহযোগিতা ও সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ডেনমার্কের নাম উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডেনমার্কের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এখানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দু’দেশেরই বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতারা উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে দূতরা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূতগণ বঙ্গভবনে এসে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here