• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

আরও চাল কিনতে ছাড় ৭২০ কোটি টাকা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে যাতে খাদ্যের সংকট না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আরও দুই লাখ টন চাল সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, আগামীতে যাতে খাদ্যের কোনো সংকট না হয়, তাই সরকারি গুদামেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ করছে সরকার। ইতোমধ্যে দেড় লাখ মেট্রিক টন গম দেশের বাইরে থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খবর অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের।

গত ১২ মে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে দুই লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের জন্য চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৭২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত হতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল ক্রয় খাতে এ অর্থ বরাদ্দ

দেওয়া হয়। তবে এ চাল ক্রয় বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় আর্থিক বিধিবিধান ও নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিপালনের শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে দুই লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সমঝোতা হয়েছে এবং জুলাইয়ের মধ্যে সে গম এসে পৌঁছাবে দেশে। ইতোমেধ্য রাশিয়া গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও ঘোষণার আগেই জি-টু-জি অর্থাৎ দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল, ফলে গম যথাসময়ে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, দেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য সরকার খাদ্যশস্য মজুদ করে রাখে। এবার একটু বেশি বেশি পরিমাণ চাল ক্রয় করা হচ্ছে। যাতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় এবং খাদ্য সংকট না হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে পর্যন্ত সময়ে খাদ্যশস্যের সরকারি গুদামজাতকৃত মোট মজুদ ১২ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল ৯ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন এবং গম ২ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর একই সময়ে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য মজুদ ছিল ১২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। অর্থৎ গত বছরের তুলানায় বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য ৩৪ হাজার মেট্রিক টন বেশি রয়েছে।

গত আমন মৌসুমে এক কোটি ৫৫ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। পাশাপাশি বোরোতে দুই কোটি মেট্রিক টনের বেশি ফলন আশা করছে সরকার। তাই দানাজাতীয় খাবারের সংকট হবে না। এ ছাড়া আলু, শাকসবজি, তেলবীজসহ বেশির ভাগ পণ্যেই বাংলাদেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, করোনার কারণে অন্তত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হবে। তারা কর্মহীন হবে। খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও তা কেনার সামর্থ্য থাকবে না অনেকের। এ সময়ে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা নিরবচ্ছিন্ন রাখাই হবে সরকারের চ্যালেঞ্জ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here