• শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২০ ১৪৩১

  • || ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, কালজানিসহ ১৬টি নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমার সাথে সাথে নদনদীতে চলছে তীব্র ভাঙন। বিশেষকরে তিস্তা ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার কালজানি নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধদের তথ্য মতে, কুড়িগ্রামের রাজাহাট উপজেলায় ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের খিতাব খাঁ, কালীঘাট, রামহরি, চতুরা, তৈয়ব খাঁ ও নাজিম খান ইউনিয়নের শ্রম নারায়ণ এলাকায় তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দোতলা বিশিষ্ট বন্যা আশ্রয়ণ ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিলীনের পথে। এছাড়াও গত ৪দিনে ৮০টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভুরুঙ্গামারীর পাইকের ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুধকুমার নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে ইতোমধ্যে গনাইরকুটি, চরবলদিয়া, পাইকের ছড়া এলাকার ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙছে। ভাঙনের কারণে সম্প্রতি ১০টি পরিবার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একই উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, কালজানি নদীর ভাঙনে তার ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা, চর তিলাই, শিলখুরির ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙছে। ভাঙনে ২৫টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি নেই। তবে সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল তিস্তা তীরবর্তী ৬১০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে শুকানো খাবার হিসেবে ৫ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, এক প্যাকেট বিস্কুট বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ৪৩১ হেক্টর জমির ধান নিমজ্জিত ছিল। পানি সরে যাওয়ায় নিমজ্জিত ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। ১০-১২ হেক্টর জমির শাকসবজি ক্ষতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে উন্নতি আছে। তবে তিস্তা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও কালজানি নদীর বেশ কয়টি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলমান রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here