• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

গাইবান্ধা শহরে বর্জ্য অপসারণ বন্ধ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শহরবাসী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

গাইবান্ধা শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে শহরের ব্যস্ততম অনেক সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। এসব ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা অপসারণের উদ্যোগ নেই।

সরেজমিন দেখা যায়, গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোড, হাসপাতাল রোড, মুন্সিপাড়া, খন্দকার মোড়, খাঁ পাড়া, ভিএইড রোড় সড়কে ময়লা-আর্বজনার ২৫-৩০টি স্তূপ হয়েছে। শহরের পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সড়কেও শতাধিক ময়লার স্তূপ।

ডিবি রোডের ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শহরে ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত না নিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে।’

শহরের বাসিন্দা শিপন মিয়া বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে পৌরসভার ময়লার গাড়ি নিয়মিত আসে না। কয়েকদিন পরপর রাতের বেলা এসে ময়লা নিয়ে যায়। দু-তিনদিনের ময়লাগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে বসবাসের মতো কোনো পরিবেশ থাকে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকেই পৌর এলাকার বানিয়ারজানে স্থাপিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য ড্যাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য ফেলতে বাধা দিচ্ছেন এলাকাবাসী। সেখানে স্থানীয়রা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। একাধিক খাসজমিতে ময়লা ফেলতে গেলে সেখানেও বাধা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। এমনকী মারধরের শিকার হচ্ছেন ময়লা অপসারণকর্মীরা। ফলে ময়লা অপসারণ বন্ধ রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বক্কর সিদ্দিক স্বপন বলেন, ‘বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বর্জ্যগুলো দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে না ফেললে সমস্যা আরও প্রকট হবে। বিষয়টি এলাকাবাসীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।’

গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, পৌরবাসী পৌরসভাকে ট্যাক্সসহ নানা ধরনের কর দেয়। তাই তাদের দায়িত্ব পৌরবাসীকে নাগরিক সেবা দেওয়া। শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, আগে যেখানে ময়লা ফেলা হতো, সেখানে স্থানীয়রা ময়লা ফেলতে দিচ্ছেন না। সে কারণে ওয়ার্ডভিত্তিক আলোচনা শুরু করবো। আলোচনা করে যদি কোনো খাসজমি বা জায়গা ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে সব ময়লা-আবর্জনা সেখানে ফেলা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here