• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

ত্রিশালে করোনা লড়াইয়ে ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীসহ এগিয়ে আসছেন তরুণরাও। সামনে সারি থেকে যারা এ লড়াইয়ে জীবনবাজি রেখে কাজ করছেন তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবকরা অন্যতম। ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে কাজ করছেন ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক। তারা নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছেন। পাশাপাশি শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকরণ, রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও মৃত ব্যক্তিদের দাফনে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছেন। দুস্থদের মাঝে মানবিক সহায়তা বিতরণে প্রশাসনের সব কাজেই সহযোগিতা করছেন এই স্বেচ্ছাসেবকরা।

ত্রিশাল উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে তিনজন। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন। করোনা প্রকোপের প্রথম দিকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ লকডাউন বাস্তবায়নের কারণে এ উপজেলায় তেমন ছড়াতে পারেনি করোনা।

মার্চ মাসের মাঝামাঝি ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রাণঘাতী নভেল করোনা মোকাবিলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতে আগ্রহীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করার আহ্বান জানান। এতে সাড়া দেন উপজেলার সহস্রাধিক যুবক। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক ৫ থেকে ১০ জন করে ৬০০ সদস্য মনোনীত করে তাদের দিকনির্দেশনা দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম তুষার। তাদের বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করে করোনা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখার মতো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করান। সম্প্রতি তাদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাদের হাতে আইডি কার্ড ও বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম তুষার। প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োজিত করা হয় একজন টিম লিডার। বুঝিয়ে দেওয়া হয় দায়িত্ব। এর পর থেকেই এই ৬০০ তরুণ সামনের সারি থেকে কাজ করছেন।

স্বেচ্ছাসেবক শামীম ইশতিয়াক বলেন, আমরা দেশের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে কাজ করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছি। ভয় ও ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করছি। তার পরও আনন্দ পেয়েছি, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য কাজ করেছি। এসিল্যান্ড মহোদয়ের বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনায় কাজগুলো করতে পেরেছি।

উপজেলা টিম লিডার মোজাম্মেল হোসেন জানান, উপজেলা থেকে বাছাই করে এই টিমের মাধ্যমে ত্রিশাল উপজেলার সব ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী হিসেবে তাদের গড়ে তোলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন দিনরাত তাদের মাধ্যমে সব কাজ বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে পাশে পেয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম তুষার বলেন, উপজেলায় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রামাঞ্চল, হাটবাজারে মানুষকে সচেতন করতে আমাদের গুটিকয়েকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এ স্বেচ্ছাসেবক টিমকে সচেতনতা তৈরি, মাইকিং, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নে তদারকি, মহাসড়কসহ গ্রামের বাজারগুলোয় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, খাদ্যসামগ্রী ও সরকারি অনুদান বিতরণসহ সব ধরনের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। তাদের বিনিময়ে কিছু না দিতে পারলেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে তারা আনন্দিত। আর তরুণ প্রজন্মের মাঝে মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এ দেশপ্রেম দেখে আমি গর্বিত।

Place your advertisement here
Place your advertisement here